‘রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের সমপর্যায়ে আমার নাম ঘোষিত হবে’ : মানিক বন্দোপাধ্যায়

‘রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের সমপর্যায়ে আমার নাম ঘোষিত হবে’ : মানিক বন্দোপাধ্যায়

পড়তেন প্রেসিডেন্সি কলেজে। অঙ্ক অনার্স। কিন্তু কলেজে পড়ার সময়ই জড়িয়ে পড়লেন সক্রিয় বাম রাজনীতিতে। সঙ্গে দিনরাত সাহিত্য চর্চা। পরপর দুবার ফেল করলেন কলেজে। খবর গেল দাদার কাছে।

ভাইয়ের রাজনীতি করার খবরে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হলেন দাদা। চিঠিতে লিখলেন, ‘‘তোমাকে ওখানে পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়েছে, ফেল কেন করেছ, তার কৈফিয়ত দাও।’’

দাদাকে তিনি লিখলেন, গল্প উপন্যাস পড়া, লেখা এবং রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। 

দাদা লিখলেন, ‘‘তোমার সাহিত্য চর্চার জন্য খরচ পাঠানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’’

উত্তরে তিনি দাদাকে লিখলেন, ‘‘আপনি দেখে নেবেন, কালে কালে লেখার মাধ্যমেই আমি বাংলার লেখকদের মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে স্থান করে নেব। রবীন্দ্রনাথ-শরৎচন্দ্রের সমপর্যায়ে আমার নাম ঘোষিত হবে।’’ 

৪৮ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবনে ৪০ টি উপন্যাস এবং ৩০০ টি ছোটগল্প। হ্যাঁ, দাদাকে সেদিন যা বলেছিলেন মিলে গিয়েছিল। তিনি বাংলা সাহিত্যের সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক। তিনি মানিক বন্দোপাধ্যায় [১৯ মে, ১৯০৮–৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬]। ৪৮ বছর জীবনসীমায় রেখে গিয়েছেন যুগযুগান্ত অমরত্বের রসদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ